সিলেটের আলো : ২০১৭-১৮ বছরের জন্য ৪৯৩ কোটি টাকা ১৫ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা বাজেট পেশ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর দরগাগেটস্থ একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ বাজেট পেশ করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বাজেটে আয়ের খাতসমূহ হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৭ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের উপর কর ৮ কোটি টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুননির্মাণের উপর কর ২ কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার উপর কর ৮ কোটি টাকা ৫০ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ২০ লাখ টাকা, বাস টার্মিনালের ইজারা বাদ আয় ৬৫ লাখ টাকা, খেয়াঘাট ইজারা বাবত ২০ লাখ টাকা, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি ভাড়া বাবদ ৮০ লক্ষ টাকা, রাস্তাকাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ২৫ লক্ষ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনসংযোগ ফিস বাবত ৮০ লাখ টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। নগরবাসী নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য বকেয়া পরিশোধ করলে এই অর্থবছরে সিটি করপোরেশনের নিজস্বখাতে সর্বমোট ৮৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মেয়র।
এছাড়া সরকারী উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাতে ২০ কোটি টাকা, সরকারী বিশেষ মঞ্জুরী খাতে ১০ কোটি টাকা, অন্যান্য প্রকল্প মঞ্জুরী বাবদ ১ কোটি টাকা, মহানগরীর অবকাঠমো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ১০০ কোটি টাকা, নগরীর ১১টি ছড়া সংরক্ষণ ও আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ৮০ কোটি টাকা, ভারতীয় অনুদানে সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নত পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নগরীতে অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ২১ কোটি ৮৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা, সিটি করপোরেশনের জন্য সরকারী রাজস্ব বাজেটের আওয়তায় অত্যাবশকীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ প্রকল্প ২৯ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশনের জন্য সরকার কর্তৃক বেলারুশ থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদী সরবরাহ খাতে ১০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমায় জমি অধিগ্রহণ ও টাকা টার্মিনাল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ৬ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা পার্কে রাইড স্থাপন প্রকল্প ৩ কোটি টাকা, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প ২ কোটি টাকা, নগরীর জলাবদ্ধতা হ্রাসকরণ প্রকল্প ২ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অন্যান্য কাজে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৫০ কোটি টাকা, উৎপাদন নলকুপ স্থাপন ৩ কোটি টাকা, পাইপ লাইন স্থাপন ২ কোটি টাকা, ২৭ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের স্থায়ী অফিস স্থাপন প্রকল্প ৩ কোটি টাকা, করপোরেশনের নিজস্ব ফিলিং স্টেশন স্থাপন কাজে ২ কোটি টাকা, এমজিএসপি প্রকল্প খাতে বরাদ্দ ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ২ কোটি টাকা, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ভূমিকম্প সহনীয় নগরী গড়া প্রকল্পখাতে ১ কোটি টাকা, নগরীর বস্তি সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ৫০ লক্ষ টাকা এবং সিটি করপোরেশনের নিজস্ব প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ বাবদ প্রাপ্ত সালামী ও বাগবাড়ী আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় গ্রহণ বাবদ মোট ১০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
এদিকে বাজেটে রাজস্ব খাতে সর্বমোট ৪৮ কোটি ৮৯ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তন্মধ্যে সাধারণ সংস্থাপন খাতে ২২ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা, শিক্ষা ব্যয় খাতে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান খাতে ব্যয় ২ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্য ও প্রয়:প্রণালী ব্যয় বাবদ ৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ খাতে ব্যয় ১৫ লক্ষ, জাতীয় দিবস উদযাপন ব্যয় ১৫ লক্ষ টাকা, খেলাধূলা ও সংস্কৃতি ব্যয় খাতে বরাদ্দ ১৫ লক্ষ টাকা, মেয়র কাপ ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট ব্যয় ১৫ লক্ষ টাকা, রিলিফ ও জরুরী ত্রাণ ব্যয় বরাদ্দ ৮০ লক্ষ টাকা, আকস্মিক দূর্যোগ ও বিপর্যয় ব্যয় ১০ লাখ টাকা, রাস্তা আলোকিতকরণ ব্যয় বরাদ্দ ৮০ লক্ষ টাকা, কার্যালয়/ ভবন ভাড়া বাবদ বরাদ্দ ৬০ লক্ষ টাকা, নিরাপত্তা / সিকিউরিটি পুলিশিং ব্যয় খাতে ৩০ লক্ষ টাকা, অন্যান্য খাতে ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া পানি সরবরাহ শাখার সংস্থাপন ব্যয়সহ পানির লাইনের সংযোগ ব্যয়, পাম্প হাউজ, মেশিন, পাইপ লাইন মেরামত ও সংস্কারসহ সর্বমোট ৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
রাজস্ব খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয় বাবদ ৩৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এসবের মধ্যে রাস্তার মেরামত,-সংস্কার, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ- মেরামত ও সংস্কার, ড্রেইন নির্মাণ-মেরামত ও সংস্কার, সরঞ্জাম যন্ত্রপাতি ও সম্পদ ক্রয়, সিটি করপোরেশনের ভবন নির্মাণ- মেরাম, নিজস্ব স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ ও সংস্কার, ঢাকায় সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ফ্ল্যাট ক্রয়, কসাইখানা নির্মাণ, ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গা উন্নয়ন ধর্মীয় প্রতিষ্টান, মাজার, কবরস্থান/ শ্মশানঘাট ইত্যাদি খাতে ব্যয় রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মাধ্যম হতে আয় অনুযায়ী সরকারী উন্নয়ন কর্মসূটি এডিপি ব্যয় খাতে ২০ কোটি টাকা সরকারী বিশেষ মঞ্জুরী খাতে ১০ কোটি টাকা, অন্যান্য প্রকল্প মঞ্জুরী বাবদ ১ কোটি টাকা, মহানগরীর অবকাঠমো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ১০০ কোটি টাকা, নগরীর ১১টি ছড়া সংরক্ষণ ও আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ৮০ কোটি টাকা, ভারতীয় অনুদানে সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নত পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে নগরীতে অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ২১ কোটি ৮৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা, সিটি করপোরেশনের জন্য সরকারী রাজস্ব বাজেটের আওয়তায় অত্যাবশকীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ প্রকল্প ২৯ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশনের জন্য সরকার কর্তৃক বেলারুশ থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদী সরবরাহ খাতে ১০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমায় জমি অধিগ্রহণ ও টাকা টার্মিনাল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ৬ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা পার্কে রাইড স্থাপন প্রকল্প ৩ কোটি টাকা, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প ২ কোটি টাকা, নগরীর জলাবদ্ধতা হ্রাসকরণ প্রকল্প ২ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অন্যান্য কাজে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৫০ কোটি টাকা, উৎপাদন নলকুপ স্থাপন ৩ কোটি টাকা, পাইপ লাইন স্থাপন ২ কোটি টাকা, ২৭ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের স্থায়ী অফিস স্থাপন প্রকল্প ৩ কোটি টাকা, করপোরেশনের নিজস্ব ফিলিং স্টেশন স্থাপন কাজে ২ কোটি টাকা, এমজিএসপি প্রকল্প খাতে বরাদ্দ ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ২ কোটি টাকা, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ভূমিকম্প সহনীয় নগরী গড়া প্রকল্পখাতে ১ কোটি টাকা, নগরীর বস্তি সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ৫০ লক্ষ টাকা এবং সিটি করপোরেশনের নিজস্ব প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ বাবদ প্রাপ্ত সালামী ও বাগবাড়ী আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় গ্রহণ বাবদ মোট ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেট পেশ অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম নবেলসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুরুষ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলরবৃন্দ, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবারের বাজেটে নগরবাসীর জন্য নতুন করে কোন রকম কর আরোপ করা হয়নি। তবে অন্যতম নাগরিক সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে মাত্র ২ কোটি টাকা ও ছড়া খনন কাজে আরোও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেট পেশকালে মেয়র আরিফ সিলেটের প্রয়াত বিশিষ্টজনদের স্মরণ করেন।